বিএনপি দেশকে অস্থিতিশীল তৈরি করার অপচেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, এদেশে যখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে চ্যালেঞ্জ করা হয় তখনো বিএনপি প্রকাশ্যে একটা বাক্য বলার সাহস দেখাতে পারে না। অথচ তারা বলে দলে নাকি মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা বেশি। বর্ণচোরা আর গোপন ষড়যন্ত্রের রাজনীতির কারণে জনগণ মনে করে ভাস্কর্য অবমাননার মূল পরিকল্পনাকারী ও কুশীলব বিএনপি।
শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত নওগাঁর মান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। প্রসাদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্য নয়, বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয় নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে। অপরাজনীতির জন্যই জনগণ বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার মাধ্যমে বিএনপি প্রকারান্তরে নিজেরাই নিজেদের পায়ে কুড়াল মারছে।
তিনি বলেন, দেশে এখন দুর্দিন নেই। প্রকৃতপক্ষে ভয়াবহ দুর্দিন চলছে বিএনপির রাজনীতিতে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলের কোনো বিদ্রোহী প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়া হবে না। বিদ্রোহীদের মনোনয়ন দিলে তারা প্রশ্রয় পেয়ে যাবে এবং দলে বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে। দল করতে হলে দলের শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে।
তিনি বলেন, মানুষ করোনার নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলা করে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। গ্রাম থেকে শহরের প্রতিটি সেক্টরে শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন দৃশ্যমান।
মান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোল্লা এমদাদুল হকের সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, স্থানীয় সংসদ সদস্য মুহাম্মদ ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক, অ্যাডভোকেট শহীদুজ্জামান সরকার, ছলিম উদ্দিন তরফদার সেলিম, আনোয়ার হোসেন হেলাল, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল মালেক, সহ-সভাপতি শাহিন মনোয়ারা হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০০৫ সালের ১১ মে সিলেকশনের মাধ্যমে মোল্লা এমদাদুল হককে সভাপতি ও স ম জসিম উদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক করে ৬৭ সদস্যবিশিষ্ট ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির অনেক সদস্য ইতোমধ্যে মারা গেছেন। দীর্ঘ ১৫ বছর পর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সম্মেলনে সভাপতি পদে ১০ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ১১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।